প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
দাগনভূঞা (ফেনী) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আকবর হোসেন দাগনভূঞা ৬ নং সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ করিমপুরে একটি এতিমখানায় শীতবস্র বিতরণ করাকালীন মঙ্গলবার (২৮ শে জানুয়ারি ২৫) বিকাল ৪.৩০ মি নাগাদ ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী ফটিক ও ডিপলুর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা করেছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আকবর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ৬ নং সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ৪৫০ জন মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করতে গেলে ফটিক -ডিপলু র সাথে থাকা প্রায় ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হঠাৎ আক্রমণ করে। এতে করে আমার সাথে থাকা প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
আকবর হোসেন আরো অভিযোগ করে বলেন হামলার সাথে আমার স্ত্রী উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি শাহিন আকবরের হাতের সোনার ব্যাচলেট, নেতাকর্মীদের ১০-১৫ টি মোবাইল সহ ১০-১২ টি হুন্ডা ভাংচুর ও ৩ টি হুন্ডা নিয়ে যায়।
তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে কোন সহযোগিতা করেনি। ওসি (লুৎফর রহমান) সাহেব ঘটনাস্থলে গিয়ে ফটিক- ডিপলুর লোকদেরকে সেপ করে নিয়ে যায়।
আমাদের কম্বল বিতরণের সময় তারাও যে আর একটা সমাবেশ করবে আমাদের আগে থেকে জানা ছিল না। তিনি আরো বলেন ফটিক দাগনভূঞায় চাঁদা বাজি সহ নানা অপকর্ম করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে আকবর হোসেন বাসায় চলে যাওয়ার সময় তার বিরুদ্ধে ফটিকের নেতাকর্মীরা ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দিয়ে চড়াও হতে চাইলে ফটিক নেতাকর্মীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করেন।
এক পর্য ায়ে আকবর গ্রুপের লোক জন লাঠি সোঠা নিয়ে দাগনভূঞা বাজারের দিকে আসতে চাইলে আগে থেকেই বাজারে থাকা ফটিক গ্রুপের লোক জন লাঠি সোঠা নিয়ে ধাওয়া করে, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও চকলেট বোমা বিস্ফোরণ হলে বাজারের সাধারন মানুষ ও ব্যাবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে।
তবে এসব ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলেও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কোন তৎপরতা চোখে পড়ে নি।
হামলার বিষয়ে কাজী ফটিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৬ নং সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে আমাদের পূর্ব ঘোষিত প্রোগ্রাম ছিল, সেখানে কম্বল বিতরনের নামে কাউন্টার প্রোগাম দিয়ে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতেই তিনি সেখানে গিয়েছেন, এবং নিজের লোক দিয়ে হামলার নাটক সাজিয়ে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। আমার উপর আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আকবর হোসেনের লোকেরা চাঁদা বাজী করে আমার নাম বিক্রি করছে। তারা অবৈধ কমিটি দিয়ে অবৈধ কর্মকান্ড করে বিএনপির বদনাম এবং প্রকৃত ত্যাগী নেতা কর্মিদের বঞ্চিত করছে। এই অবৈধ কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
দাগনভূঞা থানার ওসি মোঃ লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকের দুই গ্রুপের ঘটনায় আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্তে দুই গ্রুপকে নিভৃত করতে চেষ্টা করেছি। আমরা কোন ভাবেই অপকর্ম ও অপকর্ম কারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছি না। হামলার বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আমরা ব্যাবস্থা নিব এবং আইন শৃঙ্খলা বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।